মহাদেবী বর্মা
মহাদেবী বর্মা (২৬ মার্চ, ১৯০৭ - ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭) ছিলেন একজন ভারতীয় হিন্দি-ভাষী কবি, প্রাবন্ধিক ও নকশাধর্মী গল্প লেখিকা। হিন্দি সাহিত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মহাদেবী বর্মাকে উক্ত সাহিত্যের "ছায়াবাদী" যুগের প্রধান চার স্তম্ভের অন্যতম জ্ঞান করা হয়। তাঁকে আধুনিক মীরা বলেও অভিহিত করা হয়। কবি সূর্যকান্ত ত্রিপাঠী "নিরালা" একদা মহাদেবী বর্মাকে "হিন্দি সাহিত্যের বিশাল মন্দিরে সরস্বতী" বলে উল্লেখ করেছিলেন।, তিনি সচেতন সৃষ্টির কল্যাণী প্রতিমা) - ''নিরালা''।}} মহাদেবী বর্মা স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ও পরবর্তী উভয় যুগের ভারতকেই দেখেছিলেন। তিনি ছিলেন ভারতের বৃহত্তর সমাজের জন্য কর্মরত এক কবি। শুধুমাত্র কবিতাই নয়, সমাজের মানোন্নয়ন ও নারীকল্যাণের যে কাজের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন তাও মহাদেবীর সাহিত্যে গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তা শুধু পাঠকদের প্রভাবিত করেছে, তা-ই নয়, সমালোচকদের মধ্যেও এক গভীর প্রভাব বিস্তার করে। এই প্রসঙ্গে মহাদেবীর ''দীপশিখা'' উপন্যাসটির নাম করা যায়।তিনি খড়ীবোলীতে হিন্দি কবিতার এক কোমল শব্দকোষ গড়ে তোলেন, পূর্বে যা কেবল ব্রজভাষার ক্ষেত্রেই সম্ভবপর বলে গণ্য করা হত। সেই কাজে তিনি সংস্কৃত ও বাংলা ভাষা থেকে কোমল শব্দগুলি নির্বাচন করেন এবং সেগুলিকে হিন্দিতে গ্রহণ করেন। মহাদেবী বর্মা সংগীতেও বিশেষ পারদর্শিনী ছিলেন। তাঁর গানের সৌন্দর্য নিহিত রয়েছে তীক্ষ্ণ অভিপ্রকাশের সুভাষিত শৈলীতে ধৃত এক ভঙ্গিমায়। মহাদেবী কর্মজীবন শুরু করেছিলেন শিক্ষকতার মাধ্যমে। তিনি প্রয়াগ মহিলা বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষা হন। বিবাহ করলেও মহাদেবী সন্ন্যাসিনীর জীবনই বেছে নিয়েছিলেন। তিনি ছিলেন একজন দক্ষ চিত্রকর এবং সৃজনশীল অনুবাদক। হিন্দি সাহিত্যের সকল গুরুত্বপূর্ণ পুরস্কারই তিনি অর্জন করেছিলেন। বিগত শতাব্দীর জনপ্রিয়তম মহিলা হিন্দি সাহিত্যিক হিসেবে তিনি সারাজীবনই সম্মান অর্জন করে এসেছিলেন। ২০০৭ সালে মহাদেবীর জন্মশতবর্ষ উদ্যাপিত হয়। পরবর্তীকালে গুগলও এই দিনটি গুগল ডুডলের মাধ্যমে উদ্যাপন করে। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
-
1
-
2
-
3
-
4
-
5
-
6
-
7
-
8
-
9
-
10
-
11
-
12
-
13
-
14
-
15
-
16
-
17
-
18
-
19
-
20