রামকৃষ্ণ পরমহংস

[[দক্ষিণেশ্বর|দক্ষিণেশ্বরে]] রামকৃষ্ণ রামকৃষ্ণ পরমহংস () (১৮ ফেব্রুয়ারি ১৮৩৬ – ১৬ আগস্ট ১৮৮৬) পূর্বাশ্রমের নাম গদাধর চট্টোপাধ্যায় । ঊনবিংশ শতকের এক প্রখ্যাত ভারতীয় বাঙালি যোগসাধক, দার্শনিক ও ধর্মগুরু। প্রধান শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ তার প্রচারিত ধর্মীয় চিন্তাধারায় রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। তারা উভয়েই বঙ্গীয় নবজাগরণের এবং ঊনবিংশ ও বিংশ শতাব্দীর বাংলা তথা ভারতীয় নবজাগরণের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব। তাঁকে তাঁর অনুসারীরা অবতার (ঐশ্বরিক অবতার) বলে মনে করেন।

রামকৃষ্ণ পরমহংস গ্রামীণ পশ্চিমবঙ্গের এক দরিদ্র বৈষ্ণব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রাণী রাসমণি প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর ভবতারিণী মন্দিরে পৌরোহিত্য গ্রহণের পর বঙ্গীয় তথা ভারতীয় শক্তিবাদের প্রভাবে তিনি কালীর আরাধনা শুরু করেন। তার প্রথম গুরু তন্ত্র ও বৈষ্ণবীয় ভক্তিতত্ত্বজ্ঞা এক সাধিকা। পরবর্তীকালে অদ্বৈত বেদান্ত মতে সাধনা করে নির্বিকল্প সমাধি লাভ করেন রামকৃষ্ণ। অন্যান্য ধর্মীয় মতে, বিশেষত খ্রিস্টীয় মতে সাধনা তাঁকে “যত মত, তত পথ” উপলব্ধির জগতে উন্নীত করে। পশ্চিমবঙ্গের আঞ্চলিক গ্রামীণ উপভাষায় ছোটো ছোটো গল্পের মাধ্যমে প্রদত্ত তার ধর্মীয় শিক্ষা সাধারণ জনমানসে বিরাট প্রভাব বিস্তার করে। প্রথাগত দৃষ্টিভঙ্গিতে স্বল্পশিক্ষিত হলেও রামকৃষ্ণ বাঙালি বিদ্বজ্জন সমাজ ও শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়ের সম্ভ্রম অর্জনে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৮৭০-এর দশকের মধ্যভাগ থেকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত বুদ্ধিজীবীদের নিকট তিনি হয়ে ওঠেন হিন্দু পুনর্জাগরণের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তৎসঙ্গে সংগঠিত করেন একদল অনুগামী, যাঁরা ১৮৮৬ সালে রামকৃষ্ণের প্রয়াণের পর সন্ন্যাস গ্রহণ করে তার কাজ চালিয়ে যান। এঁদেরই মধ্যে প্রধান শিষ্য ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ

১৮৯৩ সালে শিকাগোতে বিশ্বধর্ম মহাসম্মেলনে স্বামী বিবেকানন্দ তার ধর্মীয় চিন্তাধারাকে পাশ্চাত্যের জনসমক্ষে উপনীত করেন। বিবেকানন্দ যে বিশ্ব মানবতাবাদের বার্তা প্রেরণ করেন তা সর্বত্র সমাদৃত হয় এবং তিনিও সকল সমাজের সমর্থন অর্জন করেন। যুক্তরাষ্ট্রে হিন্দু দর্শনের সার্বজনীন সত্য প্রচারের উদ্দেশ্যে তিনি এরপর প্রতিষ্ঠা করেন বেদান্ত সোসাইটি এবং ভারতে রামকৃষ্ণের ধর্মীয় সমণ্বয়বাদ ও “শিবজ্ঞানে জীবসেবা”র আদর্শ বাস্তবায়িত করার জন্য স্থাপনা করেন রামকৃষ্ণ মিশন নামে একটি ধর্মীয় সংস্থা। রামকৃষ্ণ আন্দোলন ভারতের অন্যতম নবজাগরণ আন্দোলন রূপে বিবেচিত হয়। ২০০৮ সাল পর্যন্ত ভারত ও বহির্ভারতে রামকৃষ্ণ মিশনের মোট ১৬৬টি শাখাকেন্দ্র বিদ্যমান। এই সংস্থার প্রধান কার্যালয় পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার বেলুড় মঠে অবস্থিত। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
প্রদর্শন 1 - 20 ফলাফল এর 854 অনুসন্ধানের জন্য 'Ramakrishna', জিজ্ঞাসা করার সময়: 0.02সেকেন্ড ফলাফল পরিমার্জন করুন
  1. 1
    অনুযায়ী Ramakrishna, T
    Printed Book
  2. 2
    অনুযায়ী Ramakrishna, T
    Printed Book
  3. 3
    অনুযায়ী RamakrishnaT
    প্রকাশিত 2001
    Printed Book
  4. 4
    অনুযায়ী Ramakrishna T.
    প্রকাশিত 2001
    Printed Book
  5. 5
    অনুযায়ী Ramakrishna T.
    প্রকাশিত 2001
    Printed Book
  6. 6
    অনুযায়ী Ramakrishna, T
    প্রকাশিত 2001
    Printed Book
  7. 7
    অনুযায়ী Ramakrishna, T
    প্রকাশিত 2002
    Printed Book
  8. 8
    অনুযায়ী Ramakrishna, T
    প্রকাশিত 2002
    Printed Book
  9. 9
    অনুযায়ী Ramakrishna, T.
    প্রকাশিত 2001
    Printed Book
  10. 10
    অনুযায়ী Ramakrishna, T
    প্রকাশিত 2002
    Printed Book
  11. 11
    অনুযায়ী Ramakrishna, T
    প্রকাশিত 2002
    Printed Book
  12. 12
    অনুযায়ী Ramakrishna, T
    প্রকাশিত 2002
    Printed Book
  13. 13
    অনুযায়ী Ramakrishna,T
    প্রকাশিত 2002
    Printed Book
  14. 14
    অনুযায়ী Ramakrishna
    প্রকাশিত 2003
    Printed Book
  15. 15
    অনুযায়ী RAMAKRISHNA
    Printed Book
  16. 16
    অনুযায়ী Ramakrishna
  17. 17
    অনুযায়ী Ramakrishna
    প্রকাশিত 1960
  18. 18
    অনুযায়ী Ramakrishna, S
    Printed Book
  19. 19
    অনুযায়ী Ramakrishna,T
    প্রকাশিত 2001
    Printed Book
  20. 20
    অনুযায়ী Ramakrishna T
    প্রকাশিত 2001
    Printed Book