লক্ষ্মী
)|as=লক্ষ্মী ()|bn=লক্ষ্মী ()|gu=લક્ષ્મી ()|hi=लक्ष्मी ()|mr=लक्ष्मी ()|or=ଲକ୍ଷ୍ମୀ ()|ta=லக்ஷ்மீ ()|te=లక్ష్మీ ()|kn=ಲಕ್ಷ್ಮೀ ()}}লক্ষ্মী (সংস্কৃত: लक्ष्मी) হলেন একজন হিন্দু দেবী। তিনি ধনসম্পদ, আধ্যাত্মিক সম্পদ, সৌভাগ্য ও সৌন্দর্যের দেবী।পার্বতী এবং সরস্বতীর সাথে তিনি ত্রিদেবীর একজন। তিনি বিষ্ণুর পত্নী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী ইনি স্বত্ত্ব গুন ময়ী। জৈন স্মারকগুলিতেও লক্ষ্মীর ছবি দেখা যায়। লক্ষ্মীর বাহন পেঁচা। লক্ষ্মী ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তিনি বিষ্ণুর শক্তিরও উৎস। মহাবিশ্বের সৃষ্টি, সুরক্ষা এবং রূপান্তর করতে বিষ্ণুকে সহায়তা করেন। যখন বিষ্ণু অবতার হিসেবে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন, তখন লক্ষ্মী তার সাথে সঙ্গী হিসেবে আসেন। যেমন রাম ও কৃষ্ণ রূপে অবতার গ্রহণ করলে, লক্ষ্মী সীতা,রাধা রূপে তাঁদের সঙ্গিনী হন। লক্ষ্মীর আটটি বিশিষ্ট প্রকাশ অষ্টলক্ষ্মী, যা সম্পদের আটটি উৎসের প্রতীক।প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কার এবং প্রাচীন মুদ্রাগুলি খ্রিস্টপূর্ব ১ম সহস্রাব্দের মধ্যে লক্ষ্মীর প্রতি স্বীকৃতি এবং শ্রদ্ধার ইঙ্গিত দেয়। লক্ষ্মীর মূর্তি ও মূর্তিগুলি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে হিন্দু মন্দিরগুলিতেও পাওয়া গেছে, অনুমান করা হয় এগুলি প্রথম সহস্রাব্দের দ্বিতীয়ার্ধর। লক্ষ্মী পূজা অধিকাংশ হিন্দুর গৃহেই অনুষ্ঠিত হয়। নবরাত্রির সময় দীপাবলি ও শারদ পূর্ণিমা বা কোজাগরী পূর্ণিমার দিন তার বিশেষ পূজা হয়। এটি কোজাগরী লক্ষ্মী পূজা নামে খ্যাত। বাঙালি হিন্দুরা প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীপূজা করে থাকেন।
লক্ষ্মী হিন্দু ঐতিহ্যের বৈদিক যুগ থেকে একজন কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব। যদিও তিনি প্রাচীনতম বৈদিক সাহিত্য-এ সরাসরি আবির্ভূত হন না, তবে ''শ্রী'' শব্দটি রূপ—মঙ্গল, গৌরব, এবং উচ্চ পদ বা প্রায়ই রাজত্বের সাথে যুক্ত ছিল- যা অবশেষে বিকশিত হয়ে পরবর্তী বৈদিক গ্রন্থে দেবী হিসেবে শ্রী-লক্ষ্মীকে ''শ্রী সুক্তমে'' যুক্ত করেছিল। মহাকাব্যের শেষের দিকে (আনুমানিক ৪০০ খ্রি.), তিনি বিশেষভাবে সংরক্ষক দেবতা বিষ্ণু এর সাথে তার স্ত্রী হিসাবে যুক্ত হয়েছিলেন। এই ভূমিকায়, লক্ষ্মীকে আদর্শ হিন্দু স্ত্রী হিসেবে দেখা হয়, যিনি তার স্বামীর প্রতি আনুগত্য ও ভক্তির উদাহরণের জন্য বিখ্যাত। উদাহরণস্বরূপ, তিনি সীতা, রাধা বা রুক্মিণীরূপে যথাক্রমে বিষ্ণুর অবতার রাম এবং কৃষ্ণ এর প্রতি নিবেদিত।
লক্ষ্মী বিষ্ণু-কেন্দ্রিক সম্প্রদায় তথা বৈষ্ণবধর্ম এর মধ্যে একটি বিশিষ্ট স্থান ধারণ করেন, যেখানে তিনি শুধুমাত্র বিষ্ণুর সহধর্মিণী, পরম সত্তা হিসেবেই বিবেচিত হন না, বরং তাঁর ঐশ্বরিক শক্তি (''শক্তি'') হিসেবেও বিবেচিত হন। তিনি বিষ্ণুকেন্দ্রিক সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ দেবী। তিনি শ্রী বৈষ্ণবধর্ম ঐতিহ্যের একজন বিশেষ ব্যক্তিত্ব, যেখানে লক্ষ্মীর প্রতি ভক্তি বিষ্ণুর নিকট পৌঁছানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
লক্ষ্মীকে ভারতীয় শিল্পে একটি মার্জিত বস্ত্র পরিহিতা, সমৃদ্ধি-বর্ষণকারিণী স্বর্ণালি বর্ণের নারী হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি পদ্ম সিংহাসন-এর উপর পদ্মাসনে দণ্ডায়মান বা বসা অবস্থায় থাকেন, এবং তার হাতে একটি পদ্ম ধারণ করেন যা ভাগ্য, আত্ম-জ্ঞান, এবং আধ্যাত্মিক মুক্তির প্রতীক। তার মূর্তিবিদ্যা তাকে চার হাত বিশিষ্ট দেখায়, যা হিন্দু সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ মানব জীবনের চারটি দিক: ''ধর্ম'', ''কাম'', ''অর্থ'', এবং ''মোক্ষের'' প্রতিনিধিত্বকারী। প্রায়ই তার সাথে দুটি হাতি থাকে, এটি গজ-লক্ষ্মী ছবিতে দেখা যায় যা উর্বরতা এবং রাজকীয় কর্তৃত্বের প্রতীক। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
-
1
-
2
-
3
-
4
-
5
-
6
-
7
-
8
-
9
-
10
-
11
-
12
-
13
-
14
-
15
-
16
-
17
-
18
-
19
-
20