কবীর

| birth_place = কাশীর নিকটে লহরতালাব (বর্তমান: বারাণসী) | death_date = ১৫১৮ খ্রিস্টাব্দ (১২০ বছর) | Satlok = ভারত | known = ভক্তি আন্দোলনকে প্রভাবিত করেন, শিখবাদ, মরমিয়াবাদ এবং সুফিবাদ (কবীর পন্থ) | occupation = তাঁতি, কবি | relegion = মুসলিম }}

কবীর (হিন্দি: कबीर; পাঞ্জাবি: ਕਬੀਰ; উর্দু: کبير‎) ছিলেন প্রাচীন ভারতের একজন কবি। তিনি সে সময়ে হিন্দু -মুসলিম সম্প্রীতির কথা বলেছেন। তাঁর রচনা ভক্তি আন্দোলনে গভীর প্রভাব বিস্তার করলেও তিনি মূলত প্রেম ও জীবনের কথা বলেছিলেন, যার মধ্যে প্রত্যক্ষ কোনো তত্ত্ব ছিল না। পরবর্তীতে তার গান ও কবিতার সাথে সুফিধারা ও মরমিয়াবাদের সাদৃশ্য খুঁজে পাওয়া যায়। "কবীর" নামটি আরবি "আল-কবির" শব্দটি থেকে এসেছে, যা অর্থ হল "মহান"।

কবীরের জন্ম-মৃত‍্যু ঠিক কবে তা জানা যায়নি। লহরতালাব নামক স্থানে তাঁর জন্ম হয় বলে অনেকে মনে করেন। মুসলমান জোলার ঘরের সন্তান ছিলেন তিনি। কবীর বড় হয়েছিলেন তাঁত শিল্পের মাঝে। বুনন শিল্পের কথা তাই বারবার উঠে আসে তাঁর লেখার মধ্যে। এ কথা জানা যায় যে, সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণির মানুষ ছিলেন কবীর। তাঁর রচনাতেও তাঁর অর্থনৈতিক অবস্থার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তিনি একইসাথে ছিলেন সাধক এবং গৃহস্থ সন্ন্যাসী।

কবীরের বাণী মৌখিক পরম্পরায় প্রবাহিত হয়েছে। তার গান কাশী, দিল্লী, পাঞ্জাব, রাজাস্থান, গুজরাট, বিহার, বাংলা হয়ে উড়িষ্যা অবধি ছড়িয়ে পড়ে। কবীরের গানে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন গুরু নানক। ১৫৭০ থেকে ১৫৭২ এ কবীরের বেশ কিছু কবিতা যুক্ত হয়ে যায় "গবিন্দাল পথি" সমূহের মধ্যে।

কবীরের লিখিত পাণ্ডুলিপি তিনটি পথে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এগুলো হলো : উত্তরের শাখা : শিখদের দ্বারা পালিত হয়। এই পথ নানক, গুরু গোবিন্দ সিংহের হাত ধরে ক্রমে শিখ ধারার মধ্যে ঢুকে যায়। পাশ্চাত্য শাখা : এই শাখা মূলত রাজস্থান অবধি গেছে। পরবর্তীতে দাদূ দয়াল এবং নিরঞ্জন সম্প্রদায়ের মাধ্যমে তা বিকাশ লাভ করে। দাদূপন্থীরা নির্গুণের উপাসক ছিলেন। পূর্বের শাখা : কবীর পন্থকে নিয়ে কাজ করে। কবীর বীজক এই শাখার একটা গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ। এখানে গানের ধারা কম, বরঞ্চ মৌখিক পরম্পরাটাকে লেখায় আটকে ফেলার চেষ্টা লক্ষ করা যায়। যা কেবল হাতে লেখাই নয়, ছাপাখানা অবধি পৌঁছে যায় উনিশ শতকে। এই পথে সহজ গানের পরিবর্তে তত্ত্ব কথা প্রাধান্য পায়।

কবীরের অনুবাদে বহু ভাষার সমাগম প্রত্যক্ষ করা যায়। মৌখিক ধারায় প্রচলিত ছিল কিন্তু সেগুলোকে যখন লিখিত আকারে ধরা হয় তখন তার মধ্যে অন্য ভাষার ঝোঁক পড়ে যায়। যুক্ত হয়ে যায় প্রেক্ষাপটও।শিখ দের ক্ষেত্রে পাঞ্জাবী ভাষার অংশ জুড়ে যায়। আবার রাজস্থানে কবীরের অনুবাদ ভিন্ন স্বাদের। তার কবিতার মধ্যে বুনন শিল্পের কথা পাওয়া যায়। শাড়ি, কাপড় বোনা-এই লোকজ উপাদান গুলো কবীরের কবিতায় বার বার ফিরে আসে। আপামর জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর জন্য কবীর খুব সরল লোকায়ত উপাদান ব্যবহার করেছিলেন তার কবিতার মধ্যে, ফলে হিন্দু, মুসলমান এই ভেদ গুলো ছাপিয়ে তিনি সকল মানুষের আপন হয়ে উঠতে পেরেছিলেন। তাই কবীরের গান এবং দোঁহা ছড়িয়ে পড়তে পেরেছে সমগ্র ভারতে। সুফিবাদের কাছাকাছি ভাবনা লক্ষ করা যায় কবীরের লেখার মধ্যে।

কবীরের মতবাদ শিখদের ভাবনাকেও গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। কবীরের মতবাদের বর্তমান উত্তরসূরি হল কবীর পন্থ নামে পরিচিত একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়, যেটি সন্ত মৎ সম্প্রদায়গুলির অন্যতম। ১৯০১ সালের জনগণনায় "কবীরপন্থী"-দের সংখ্যা ছিল ৮৪৩,১৭১। বর্তমানে এঁদের সংখ্যা প্রায় ৯,৬০০,০০০। এঁরা ছড়িয়ে আছেন মূলত উত্তর ও মধ্যভারতে এবং বহির্ভারতে বসবাসকারী অনাবাসী ভারতীয়দের মধ্যে।

কবীরের লেখনী এবং মতবাদ যোগ সাধক ভাদুড়ী মহাশয় অর্থাৎ মহর্ষি নগেন্দ্রনাথ-কেও প্রভাবিত করেছিল। তিনি কবীরের রচনার একটি অংশ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলেছিলেন :



কবীরের কিছু কবিতা- ১। পানী বিচ মীন পিপাসী। ২ । কোই রহীম কোই রাম বখানৈ। ৩। বিনয় দারভেদকারের "কবীরের" কবিতার অনুবাদও উল্লেখযোগ্য।

কবীরকে নিয়ে রচিত কিছু আদি গ্রন্থ হল বীজকমূল– এটি খেমরাজ কৃষ্ণদাসের রচনা।বীজক কবীর সাহবকা– পূর্ণদাস সাহেবের রচনা।কবীর শব্দাবলী– এটি এলাহাবাদ থেকে একত্র করা হয়। কবীর সাগর– স্বামী যুগলানন্দের রচনা। সত্য কবীরকী সাথী– শিবহরের লেখা। কবীর মনশূর– প্রমাণন্দজী, মকনজী কুবেরের রচনা।পরমার্থ রাজনীতি ধর্ম– সাধু কাশীদাসের রচনা, বম্বেতে পাওয়া যায়।এছাড়াও পংচ গ্রন্থী, সংজ্ঞা পাঠ, কবীরোপাসনা পদ্ধতি, কবীর কাসৌটী, কবীর বাণী  বই গুলো বিশেষ উল্লখযোগ্য। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
প্রদর্শন 1 - 5 ফলাফল এর 5 অনুসন্ধানের জন্য 'Kabirdas', জিজ্ঞাসা করার সময়: 0.01সেকেন্ড ফলাফল পরিমার্জন করুন
  1. 1
    অনুযায়ী Kabirdas
    প্রকাশিত 1999
    Printed Book
  2. 2
    অনুযায়ী Kabirdas
    প্রকাশিত 1969
    Printed Book
  3. 3
    অনুযায়ী Kabirdas
    প্রকাশিত 1972
    Printed Book
  4. 4
    অনুযায়ী Kabirdas
    প্রকাশিত 1966
    Printed Book
  5. 5
    অনুযায়ী Kabirdas
    প্রকাশিত 2010