ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা
ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো; , ) ভারতের রাষ্ট্রীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা, যার কার্যালয় বেঙ্গালুরু শহরের অবস্থিত। এটি মহাকাশ বিভাগের (ডস) অধীনে কাজ করে, যা সরাসরি ভারতের প্রধানমন্ত্রী দ্বারা তত্ত্বাবধান করা হয়, অন্যদিকে ইসরোর চেয়ারম্যান ডস-এর নির্বাহী হিসাবে কাজ করেন। ইসরো হল স্থান ভিত্তিক প্রয়োগ, মহাকাশ অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তির উন্নয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনকারী ভারতের প্রাথমিক সংস্থা। এটি সম্পূর্ণ উৎক্ষেপণে সক্ষম, ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিন মোতায়েন, বহির্মুখী অভিযানের উৎক্ষেপণ ও কৃত্রিম উপগ্রহের বড় বহর পরিচালনাকারী বিশ্বের ছয়টি সরকারি মহাকাশ সংস্থার মধ্যে একটি হিসাবে পরিগণিত হয়।মহাকাশ গবেষণার প্রয়োজনীয়তা স্বীকার করে বিজ্ঞানী বিক্রম সারাভাইয়ের অনুরোধে ১৯৬২ সালে জওহরলাল নেহেরু পরমাণু শক্তি বিভাগের (ডিএই) অধীনে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল কমিটি ফর স্পেস রিসার্চ (ইনকোসপার) প্রতিষ্ঠা করেন। ''ডিএই''-এর মধ্যে ''ইনকোসপার'' বিকশিত হয়ে ১৯৬৯ সালে ''ইসরো'' হয়ে ওঠে। ভারত সরকার ১৯৭২ সালে একটি মহাকাশ কমিশন ও মহাকাশ বিভাগ (ডস) গঠন করে এবং ইসরোকে ডস-এর অধীনস্থ করা হয়। ইসরোর প্রতিষ্ঠা ভারতে মহাকাশ গবেষণা কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রদান করে। এটি তখন থেকেই জ্যোতির্বিজ্ঞান ও মহাকাশ প্রযুক্তির ক্ষেত্রের অন্যান্য ভারতীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারী ডস দ্বারা পরিচালিত হয়।
ইসরো ভারতের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ আর্যভট্ট তৈরি করে, যা সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারা ১৯৭৫ সালের ১৯ই এপ্রিল উৎক্ষেপণ করা হয়। ইসরো ১৯৮০ সালে তার নিজস্ব এসএলভি-৩ রকেটের দ্বারা আরএস-১ কৃত্রিম উপগ্রহকে উৎক্ষেপণ করে, যা ভারতকে কক্ষীয় উৎক্ষেপণে সক্ষম ষষ্ঠ রাষ্ট্রে পরিণত করে। এসএলভি-৩ রকেটের পরে এএসএলভি রকেট নির্মাণ করা হয়, যা পরবর্তীতে বহু মাঝারি-ভার উত্তোলনে সক্ষম উৎক্ষেপণ যান, রকেট ইঞ্জিন, কৃত্রিম উপগ্রহ ব্যবস্থা ও নেটওয়ার্ক উন্নয়নে সংস্থাকে সক্ষম করে, ফলে সংস্থাটি শত শত দেশী-বিদেশী কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ অনুসন্ধানের জন্য বিভিন্ন গভীর মহাকাশ অভিযান চালাতে সক্ষম হয়।
ইসরো পৃথিবীর প্রথম মহাকাশ সংস্থা হিসাবে চাঁদে জল অস্তিত্ব খুঁজে পায় এবং প্রথম প্রচেষ্টায় মঙ্গলের কক্ষপথে একটি কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করে। এটি বিশ্বের বৃহত্তম রিমোট-সেন্সিং কৃত্রিম উপগ্রহের নক্ষত্রপুঞ্জ এবং গগন ও নাবিক নামে দুটি কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক দিকনির্ণয় ব্যবস্থা পরিচালনা করে। নিকট ভবিষ্যতের লক্ষ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে কৃত্রিম উপগ্রহের বহর সম্প্রসারণ, চাঁদে রোভার অবতরণ, মানুষকে মহাকাশে পাঠানো, একটি আধা-ক্রায়োজেনিক ইঞ্জিনের উন্নয়ন, চাঁদ, মঙ্গল, শুক্র ও সূর্যে আরো মানববিহীন অভিযান প্রেরণ এবং সৌরজগতের বাইরে মহাজাগতিক ঘটনা ও বাইরের স্থান পর্যবেক্ষণের জন্য কক্ষপথে আরও বেশি মহাকাশ দূরবীন স্থাপন।
ইসরোর কর্মসূচিসমূহ ভারতের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, টেলিমেডিসিন ও নেভিগেশন এবং পুনর্নির্মাণ অভিযান সহ বিভিন্ন দিক থেকে বেসামরিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই সহায়তা করে। ইসরোর স্পিন অফ প্রযুক্তিসমূহ ভারতের প্রকৌশল ও চিকিৎসা শিল্পের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ উদ্ভাবন প্রতিষ্ঠা করেছে। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
-
1
-
2
-
3
-
4প্রকাশিত 1997অন্যান্য লেখক: “...ISRO...”
Printed Book -
5
-
6
-
7
-
8
-
9প্রকাশিত 1987অন্যান্য লেখক: “...ISRO...”
Printed Book -
10
-
11প্রকাশিত 1994Printed Book
-
12
-
13অন্যান্য লেখক: “...Space Applications Centre (ISRO)...”
Report -
14“...Indian Space Research Organisation UGE-ISRO coordination committee...”
Printed Book