গৌতম বুদ্ধ
![[[সারনাথ]] থেকে [[Buddha Preaching his First Sermon (Sarnath)|বুদ্ধের প্রথম ধর্মোপদেশ প্রচারের ভাস্কর্য]], ৫ম শতাব্দী।{{efn|name="Buddha-statue"}}](https://upload.wikimedia.org/wikipedia/commons/f/ff/Buddha_in_Sarnath_Museum_%28Dhammajak_Mutra%29.jpg)
বৌদ্ধ ঐতিহ্য অনুযায়ী, বুদ্ধ মধ্যমার্গের শিক্ষা দান করেছিলেন, যা ভোগবিলাস ও কঠোর তপস্যার চরমপন্থার মাঝামাঝি এক পথ। যার মাধ্যমে অর্জিত হয় মুক্তি—অবিদ্যা, তৃষ্ণা, পুনর্জন্ম ও দুঃখ থেকে। তার মূল শিক্ষাগুলো চতুরার্য সত্যে এবং অষ্টাঙ্গিক মার্গে সংক্ষেপে প্রকাশিত হয়েছে। এটি মূলত এক ধরনের চেতনা প্রশিক্ষণ, যার মধ্যে রয়েছে বৌদ্ধ ধর্মনীতি, অন্যের প্রতি মমতা, এবং ধ্যানচর্চা—যেমন ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রণ, সতর্ক সচেতনতা, ও ধ্যান। তার শিক্ষার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো পঞ্চ স্কন্ধ ও প্রতীত্যসমুৎপাদ তত্ত্ব। এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কিভাবে সব ''ধর্ম'' (মানসিক অবস্থা কিংবা দৃশ্যমান বস্তু) অন্য ''ধর্মের'' উপর নির্ভর করে উদ্ভূত হয় এবং বিলীন হয়ে যায়; এরা স্বতন্ত্র কোনো ''সত্তা'' ধারণ করে না।
নিকায়গুলোতে, তিনি প্রায়ই নিজেকে তথাগত বলে উল্লেখ করেছেন; আর “বুদ্ধ” উপাধির প্রাচীনতম ব্যবহার পাওয়া যায় খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতকে, যার অর্থ ‘‘জাগ্রত জন’’ বা ‘‘প্রবুদ্ধ জন’’। তার শিক্ষা বৌদ্ধ সম্প্রদায় বিনয়ে (ভিক্ষু-সঙ্ঘের আচরণবিধি) এবং সুত্ত পিটকে (তার উপদেশভিত্তিক সংকলন) সঙ্কলিত করে। এগুলো মধ্যভারতীয় প্রাকৃত ভাষার বিভিন্ন রূপে মৌখিকভাবে প্রজন্মের পর প্রজন্মে প্রচারিত হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে রচিত হয় আরও কিছু গ্রন্থ—যেমন পদ্ধতিগত ব্যাখ্যাগ্রন্থ ''অভিধর্ম'', বুদ্ধের জীবনী, তার পূর্বজন্মের কাহিনিসমূহের সংকলন ''জাতক কাহিনি'', এবং অতিরিক্ত সূত্র যেমন মহাযান সূত্র।
ক্রমে বৌদ্ধধর্ম বিভিন্ন মতবাদ ও অনুশীলনের রূপ নেয়, যার প্রধান ধারাগুলো হলো থেরবাদ, মহাযান এবং বজ্রযান। ভারতীয় উপমহাদেশ ছাড়িয়ে এই ধর্ম ছড়িয়ে পড়ে নানা অঞ্চলে। যদিও ভারতে বৌদ্ধধর্ম জনপ্রিয়তা ও অর্থনৈতিক সহায়তার অভাবে ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয় এবং খ্রিস্টীয় অষ্টম শতাব্দীর পর প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ায় এটি ক্রমেই আরও প্রসারিত ও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। উইকিপিডিয়া দ্বারা উপলব্ধ
-
1
-
2
-
3
-
4
-
5
-
6
-
7
-
8
-
9
-
10
-
11
-
12
-
13
-
14
-
15
-
16
-
17
-
18
-
19
-
20